আমি তুমি ছাড়া বিনা রক্তপাতে
মারা যাচ্ছি এর থেকে বেশি কষ্টের
কিছু নাই মায়া জ্বালে বন্দি হইয়া
আর কত কাল থাকিব.....?
মনে হয় সব ছাড়িয়া তোমারে খুঁজি নেব
আশা করি তোমারে পাব
ডুবে যাই অন্ধকারে কেমনে পাই তোমারে....?
তন্ত্র মন্ত্র করে দেখি
এই হৃদয়ে তোমার ঠাঁই।
শাস্ত্র তন্ত্র পড়ি মনে লয় আরো
তোমার কাছে যাই,
বলো কেমনে তোমার কাছে যাই.....?
অনুভব করাটা আসলে একটা ব্যাপার
কবে যে বলবে এই যে শুনছো,
দরজা খোলা ঘরের ও মনেরও।
শীতের বাতাস হুহু করে ঢুকছে
দরজা দিয়ে কী শুধু বাতাসই ঢুকবে?
দুটো দরজাই খোলা তোমার জন্য!
শীতের বাতাস ঢুকে আমার
মনের মাঝেও সর্দি লেগে যাবে।
আমি তোমাকে এটাই বলতে চাই,
তোমার কাছে সঁপে দিলাম
আমার জীবন মরণ দূরে রাখ,
কাছে রাখ যেমন, রাখ তেমন।
এই হৃদয় আর এই তোমাকে চাওয়ার
অদম্য ইচ্ছে করবে তোমায় স্মরণ।
কতো যে ইচ্ছে তোমায় নিয়ে
তুমি কি জানো......?
পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দ্বীপ,
তোমার কপালের ঐ কালো টিপ।
পূর্নিমার চাঁদ দেখেছি আমি,
তোমার ঐ মায়াবী মুখের হাসিতে।
তোমাকে ছাড়া আমার বাস্তবের
ভালোবাসাটাকে সাজাতে পারিনি
কিন্তু কল্পনার ভালোবাসাটা রঙ্গিন আমার,
যেখানে শুধুই তোমার বিচরণ!
শুভ্রতায় মোড়ানো জীবনের উপকথা
ক্ষণিকের অপূর্ণতায় জীবনের পথ ভোলা।
হৃদয়ের অনুভূতিকে পূর্ণতা দেয়া
কিংবা জীবনের বৃত্তটাকে রঙিন করা,
কোনো কারণ ছাড়াই
কিংবা স্বার্থহীনভাবে কারো মাঝে
মিশে যাওয়া তোমায় নিয়ে
কাঁটিয়ে দিতে চাই অনাদি বসন্ত,
কি আনন্দময় হবে সেই জীবন।
কত কথা হবে তোমার সাথে,
টুকরো রঙিন স্মৃতি ঢেউয়ের মতো
একের পর এক ভেঙে ভেঙে
স্মৃতির তটভূমি ক্রমাগত ভিজিয়ে দিবে।
ইচ্ছে করবে তোমাকেই বউ করে পেতে,
যেদিন আসবে আমার ঘরে
কিছুটা এমনই বলা হবে
"তুমি প্রস্ফুটিত দুরু দুরু বুকে
বধু সেজে বসে থাকবে।
আমি এসে তোমার পাশে বসব,
কিছুটা আবেগময় কন্ঠে বলব
পাগলী, আজ থেকে আমার
আর কোন ভাবনা নেই।
আমার যে ছোট ডিঙিখানি
যমুনার জলে ভাসালাম,
সেটি বাইবার দায়িত্ত্ব তোমার।
তুমি যে দিকে তরি বাইবে,
আমি নিসংশয়ে তোমার হাত ধরে
নিশ্চিত মনে সে দিকেই যাবো।
অতি সাধারন সাদাসিঁধে মানুষ।
আমি জানি,তুমি প্রখর বুদ্ধিমতী মেয়ে।
তোমায় পাশে পেয়েছি তাই আজ থেকে
আমি ভাবনা মুক্ত মানুষ।
তুমি তাকিয়ে দেখবে
এ চোখে কতটা ভালবাসা,
তুমি নবরত্নের নিপট সরলতায় মুগ্ধ হয়ে
নববধুর অতি সাধারণ সলাজ জড়তা
উপেক্ষা করে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলবে
'তোমায় ভালবাসি আমি'।
তোমার সমস্ত দুঃখ কষ্টেও আমি
শান্তির আচল প্রসারিত করে
তোমায় জড়িয়ে রাখব।
অতঃপর তোমার চোখে কাটিয়ে দিব
কতশত মুহূর্ত আর ঐ গভীর আঁখিতে
ভেসে যাব আমি।
ভাসব কখনও আবার কখনো ডুব দিব
তোমার মায়াবী আঁখিতে
মজে তোমায় জড়িয়ে
বিভোর হয়ে থাকব শতবর্ষ।
জীবনের টুকরো ভালোলাগার
সবটুকু শুষে নিব গভীর একাগ্রতায়।
জীবনের টুকরো টুকরো মধু সুখের
ক্ষন গুলো অবাক করা সুন্দরতায়
তোমার আমার জীবনকে কানায় কানায়
পুরন করে দিবে শত বর্ষ।
বেঁচে থাকবে হৃদয় মাঝে
এমনই জীবনের প্রত্যাশা।
আমি শতবর্ষ এ ভাবেই একাগ্র ভাবে
তোমাকেই চাইব আর এভাবেই ভালবাসব।
শত সহস্র ভাবে বলে দিব 'ভালবাসি',
আগুন ছুঁয়ে বলতে পারি 'ভালবাসি',
সহস্রবার বলতে পারি,
লক্ষ-কোটি উচ্চারনেও
তিলমাত্র ক্লান্তি নেই।
লজ্জা, দ্বিধা সংকোচহীন ভালবাসি বলেই
আমি গর্ব করে বলতে পারি 'ভালবাসি'।
বলতে পারি মিছিল করে
কিংবা তোমার কানের কাছে
মুখটি নিয়ে ফিসফিসিয়ে।
খুব আবেগে বলতে পারি 'ভালবাসি'
না বলেও বলতে পারি,
শত শত বার ফিরিয়ে দিলেও
ফিরে এসে তোমায়
বলি 'ভালবাসি'
খুব 'ভালবাসি'।
এমন শত ভালবাসা রয়েছে তোমারই জন্যে।
তুমি হ্যাঁ বললেও তোমাকেই ভালোবাসবো;
না বললেও ভালোবাসবো শুধু তোমাকেই...!
আরো পড়ুন -->>
0 মন্তব্যসমূহ
অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্যের দায় মন্তব্যকারীর, সম্পাদকের নয়।