জনি আকন্দের কবিতা

 

বৃদ্ধামাতা


তুমি চাঁদ তো হতে পারো না পারো না হতে তারা।
নও তো তুমি প্রখর রোদের এক টুকরো ছায়া।
ছোট ছোট জলকণা তিল তিল করে গড়ে ওঠা.
দশ মাস দশ দিনের অসহ্য যন্ত্রণা।
তখন কেঁদেছি প্রসবের ব্যথায় এখন কাঁদি আবেগে।
যেদিন তুমি এসেছিলে এই পৃথিবীর বুকে জানিনা কোন মায়াজালে বেঁধেছিলে আমাকে।
তোমার কান্নার ভাষা বুঝতে পারি আমি তাইতো সবাই বলে আমায় মায়াপুরের রানি।
গুটি গুটি পায়ে হাঁটতে শেখো তুমি হঠাৎ করেই পড়ে গেলে চমকে উঠি আমি।
মেডিকন মৃদুকণ্ঠে ডাকতে আমায় মা,মা বলে হৃদয় খানি উঠতো কেঁপে আবেগ চোখের জলে।
সেই আবেগের মূল্য খানি এতোটুকু হবে বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে এই সময়ের ব্যবধানে।
বয়সের ভারে শিশুর মত আচরণ করি ঠিকই
আজও আমার কষ্টটুকু সেই আগের মতই।
চোখের আবেগ ফুরিয়ে গেলেও কষ্ট ফুরায়নি।
বৃদ্ধাশ্রমের দিনগুলো আজ বেজায় রঙিন।


মার্জিত সমাজ


মার্জিত সমাজ হে তুমি বড় নিষ্ঠূর
মার্জিত তুমি পোশাকে মনে বড় দস্য
পরিসমাপ্তি শুরুটা ছিল বড় মধুর
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা চোখে বেধেছে হিংস্র লালশালু।
কপালে কি হলো আজ সামাজ বিশণ ক্ষিপ্ত
শুপ্তচেতনায় জাগ্রত বিবেক আজ বইয়ের পাতায় আবদ্ধ।
ক্ষমতার হাতে সমাজ আজ,সেই তো আজ মার্জিত।
খুদার জালা হাত পেতেছি তবু  সমাজ জিবন্ত
ভদ্রতাই না কি  মার্জিত হয় আমরা কেন চাইবো।
সমাজ বলে সামনে তাকাও মানুষ দেখতে পাবে
দুপায়ে ভর দিলে কি মানুষ হওয়া যাবে
মানুষের মত মানুষ হলে মার্জিত তবে হবে হবে ।
বলেছি ওই দেখা যায় দুই পায়ে জীবন মানুষ তাকে বলি.
মার্জিত শকুনের দল আজ লালসায় মত্ত
অতোপর এক ধর্ষণের গল্প শুনি।
তবু সুসর্জিত অমানুষ কেউ মানুষ রুপে দেখি
তবু মার্জিত মানুষ মার্জিত পোশাকে বিবেক কে ডেকে রাখি ।
আরো পড়ুন -->>

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ