১৯৭১ সাল হলো রক্তক্ষয়ী বছরের নাম
নামটি শুনলে ভয়ে কাঁপে এখনো অনেক গ্রাম।
বছরটি নামে বাঙালি জাতির যমরুপ ধরে
যমের সাথে বাঙালিরা লড়ে নয়টি মাস ধরে।
লড়াইয়ের শুরুতে বঙ্গবন্ধু হলো গ্রেফতার,
তারও আগে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দেয় বারংবার
তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে তৈরি থাকো ঘরে
শোষণ- নিপীড়ন বন্ধ করে স্বাধীনতা নেবো কেড়ে।
নয়টি মাস যুদ্ধ হলো,মুসলমানদের রক্ত ঝরল,হিন্দুদের পুড়ল বাড়িঘর
কোটি মানুষের শরনার্থী হলো,ভারত হলো তাদের শেষ অম্বর।
৩০ লাখ লোক শহীদ হলো,২ লাখ মা-বোন ইজ্জত হারা
মা-বোনদের ইজ্জত রক্ষা করতে বাঙালিরা দিলো সাড়া।
বাঙ্গালির দামাল ছেলেরা রুখে দাঁড়ালো ঘাতকের বীরুদ্ধে
অবশেষে সব শত্রুসেনা পড়ে গেলো দুর্বিপাকে।
পাক সেনারা আত্মসমর্পণ করে মিলে গেলো বৈঠকে
নতুন সূর্য উকি দিলো বাঙ্গালির পুর্বাকাশে।
রক্তক্ষয়ী জীবন হলেও বাঙ্গালির জীবনে গর্ব ও ঐতিহ্য
ত্যাগ-তিতিক্ষা স্বীকার করে দূর করেছে পরাধীনস্থ।
লেখক:সমাজকল্যাণ ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক,বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন,কুড়িগ্রাম জেলা সংসদ।
আরো পড়ুন -->>
1 মন্তব্যসমূহ
সুন্দর লেখা৷ কবিসাহেবের রাজনৈতিক ও সামাজিক আবেগের প্রশংসা করি৷
উত্তরমুছুনঅনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্যের দায় মন্তব্যকারীর, সম্পাদকের নয়।