দিল্লির কবিতাঃ রুট -১
গতির চিহ্ন উড়ে যায় ,
ঐ যে আদুল আসমানী আষাঢ়ের আহ্বানে
সিঞ্চন জুড়ানো হিমাইত
ঐ গ্রামে উছলে পড়েছে পুর ,
আমার জন্মতারিখ নিয়ে মেঘরোদ্দুরে
কেন যে তার অকারণ গহীন ভেসে যায় ;
সে কথা কি জানে না পালাম মহাবীর
দ্বারকার জুলাই এনক্লেভে
আর একটা ধেড়ে ইঁদুরের মতো ধুসর
এই ফ্লাইওভারের নীচে দ্যাখো পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রিতে
কেমন বাংলার ঠাটে মিশে যাচ্ছে হরিয়ানভি জাঠ
দৌড়, এক গতির পঙক্তিমালা,
যে কোন দিকেই আমি দৌড়াতে পারি
মাটির কোমল থেকে রুট ছিন্ন করে
রাওতুলারাম বক্ষে কোন চৌহান উড়ে যায়
জন্মকথা নিয়ে সে গ্রাম মেঠো
হিমের পরশ আর থমকে পড়ার নির্ভীক ঋতুকথা
আমি বরং স্তব্ধ হবো, মুগ্ধের দিকে হেঁটে যাবো
যেদিকে তার শ্যামল রুট চলে গেছে ।
দিল্লির কবিতাঃ রুট-২
এখানেই থেমে যেতে পারতে ,
বলেছে পালাম দাবড়ী রোড
থমকে গেছি গতিমুখরতার ধ্বনি উচ্চারণে
এ থামা কি থামা
এই পথ কি কোন পথ
সবুজহীনতার ক্ষণচিত্র নিয়ে তবুও
এপাড়ায় সেপ্টেম্বর নেমে আসে
দশরথপুরীর আকাশে তাই কোন শরৎ দেখিনি
পরিযায়ী বাংলা নিয়ে ছুটে যায় ঐ রিক্সা
দশকর্মার দোকানে সাজানো ঐ কাসুন্দির বোতল ,
ধুসর হয়ে আসে ৭৬৪
ঐ রাস্তা চলে যায় নজফগড়ে
এই নভেম্বরে পথ শেষ হয়ে গেলো পাঙ্খা রোডে
আমার হেমন্ত বলে কিছু নেই
অবলুপ্তির প্রচ্ছন্ন দ্বিধা নিয়ে ডিসেম্বর পার করে যাই
সুলভ শৌচালয় মোড়ে হেসে ওঠে
আগস্ট ফেলে আসা নিবেদিতা বালিকা বিদ্যালয়
থেমে যেতে পারি,
যে মোড়েই আমি নেমে যেতে পারি
অন্তত: রুটে ফিরে যাবার আমার সেইসব সরণী
যখন ঋতুর রংমূর্ছনায় মুছে গেছে
দিল্লির কবিতাঃ রুট-৩
রুটির রুট বদলে যায় ,
যে আভা লেগে থাকে তার রঙতান্দুরে ,
সেই ভৌগলিকে আমি তাকে দেখি
দিল্লি এন-সি-আর
রুটির পদ্য বদলে যায়,
অন্ত্যমিলে যে তার পরিযায় লেগেছে,
আমি তার হোঁচট শুনি
এই সড়কপারে তখনো খেলেছে সোলাংকীবালক
সে আসলে মেষপালকের দলনেতা দেশী গুর্জর
হাইওয়ের পাশে যে ঢাবা লেগেছে, তা একটি রুটি
মানচিত্রে যে চিত্র লেগেছে তা একটি মানুষ
ক্যানভাসে যে হাওয়া লেগেছে তা হলো একটি ঋতু
গাঁয়ের উপরে যে গাঁ লেগেছে
তা হলো গুড়গাঁও
ঋতুর গদ্যে ভাষা বলে ওঠে ,
তার ভঙ্গিমা বদলে যায়
এই তো শতাব্দী পুরাতন হাইওয়ে
নিজেই মাড়িয়ে যায় কখন আপন শয্যা,
আমি তার শয়নভঙ্গিমা দেখি
দেখি , হাতের উপর বদলে যাওয়া ম্যানুয়াল
তান্দুরী রুটির উপরে ক্রমাগত
দশ আঙ্গুলের ছেপে যাওয়া থপথপ
ঋতু বদলের রুট
আরো পড়ুন -->>
0 মন্তব্যসমূহ
অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্যের দায় মন্তব্যকারীর, সম্পাদকের নয়।