কে যেন ঠিক আচমকাই
মেদহীন এক সমস্ত দিনের শরীর থেকে
খামচে তুলে এনে দিল
আমার হাতের তালুতে—এক টসটসে হলদে দুপুর।
খোদিত পানপাত্র হলিগ্রেইলে সে টাটকা দুপুর ধরে রাখি ভরপুর
আর নিরীক্ষণ ক'রে যায় চোখ—চক্রাকারে ঘুরে ঘুরে।
ভেতরে নিমগ্ন কেউ—তার ব্যক্তিগত ছন্দের সাথে খ্যালে অনুক্ষণ একা আর বিলি কাটে অবচেতনের নরম হাত এই গ্রহত্বকের নরোম লোমঘাসে,অথবা কোনো গোপন আঁতাত তার হৃদয় খুড়ে ঢুকে পড়ে বা সব জঙধরা রহস্যতালার চাবি তাকে দিয়ে গ্যাছে কেউ ভুলে আর সেও চেপে যায় সে কথা।আর তাই পরম চিন্তাহীন
লাল জামার অনির্ণীত হাত তুলে নিচ্ছে এক-দুই-তিন করে
নিরবে দাড়ানো গোবরা ফুল কিছু—।
আমি কেবলই দর্শক এসবের—
কিন্তু কিছুতেই এ দৃশ্যাশ্রিত ঘটনার গায় আমার দৃষ্টিপালকেরা সুড়সুড়ি দিতে
পারে না অথবা কোনো ইশারার নোঙর নেমে যেতে পারছে না দৃশ্যটির চোরাই ফাঁটল খুঁজে নিয়ে —যে
স্বয়ং মগ্নতা বিস্ময়করভাবে
আমার দিকে তার চোখকে ঘুরিয়ে দেবে অন্তত একটিবার।
এ কেবল আমারই জন্যে দেখবার মতো উপযোগী দৃশ্য এই পৃথিবীতে
আর আছে বরাদ্দকৃত মধ্যবর্তী
এই অন্তহীন দূরত্ব ও
অস্বস্তিকর যন্ত্রণা—
2 মন্তব্যসমূহ
আহা! মুগ্ধ হলাম৷ কবি ও সম্পাদক দুজনকেই শুভেচ্ছা৷
উত্তরমুছুননয়ন সরখেল
মুছুনসম্পাদক
অনুশীলন
ধন্যবাদ
অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্যের দায় মন্তব্যকারীর, সম্পাদকের নয়।