চটিজুতো—
একটি;অন্যটি কবেই গায়ে চাপিয়েছে
গেরুয়া পোশাক।
লোকটি—
তখন, তার
হিম রক্তের মগডালে
শতছিন্ন ঝুলতে থাকা
নাম-এর রঙ্গিন পোস্টারটি
খসে গিয়ে দিচ্ছে উড়াল—যেমন
বাতাসের আবর্তে ধূলিকণারা থাকে
স্বতন্ত্র,এবং স্বতস্ফূর্ত।
সেই থেকে
মাটির নিবিড় ছাউনি তলায়
বস্তুসম বসবাস তার।
প্রায়ই,রাত গভীরে—
কবেকার এক দন্ডায়মান
স্যাঁতস্যাঁতে শার্ট,ক্ষয়ে যাওয়া বোতাম খুলে ছড়িয়ে দিচ্ছে বুকের নিবিষ্ট স্তব্ধতার বহুল কীট— দাপাদাপি ক'রছে ঘরময়।আর ছন্দময়—
কানে এসে লাগছে,
ফুলে-ফুলে ওঠা ঘুমন্ত চটিজুতোটির পেলব নিঃশ্বাস।
—বিশ্বাস হলো-তো না!
তবে,এ-তো সত্যি—
যেমন, খুব কাছে গেলেও গাছের পাতারা অগোচরে সবার,ফুলে-ফুলে ওঠে!
লোকটি—
এখন, আর
বিশেষ কিছুই নয়,
চটিজুতোটি নিয়ে সুর বাঁধে শুধু,স্মৃতিমগ্ন অবসরে তার;
যখন সমস্ত অতীত ভাসে নিখুঁত—ফুলকি মার্বেলের কেন্দ্রের স্বচ্ছতায়—
মাটির গভীরে।
কারণ,বেমক্কা তাকাতেই;
চটিজুতোটি ছড়াচ্ছে—শুধু
তারই বিশিষ্ট কন্ঠস্বর।
আরো পড়ুন -->>
0 মন্তব্যসমূহ
অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্যের দায় মন্তব্যকারীর, সম্পাদকের নয়।