খেলাঘর : প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছাঞ্জলি


লিখেছেন: আবদুল্লাহ আল মোহন

১.
জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর। আজ ২ মে খেলাঘরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৫২ থেকে ২০১৯, এক মহাকাব্যিক যাত্রার পদরেখা অংকন করে এগিয়ে চলছে খেলাঘর শিশু সংগঠনটি। আজকের আনন্দদিনে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই শুভেচ্ছা, আর প্রয়াত-জীবিত প্রতিষ্ঠাতাদের স্মৃতির প্রতিও জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি। মুক্তবুদ্ধির বিকাশের আঙ্গিনায় খেলাঘর সমৃদ্ধ আলোকবর্তিকা, ‘খেলাঘর’ সুন্দর সমাজের স্বপ্ন দেখে। তাই খেলাঘর পৃথিবীর সকল অধিকার বঞ্চিত শিশুর পক্ষে, শান্তির পক্ষে। আজকের যারা শিশু তারাই আগামী দিনের কর্ণধার। বাংলাদেশের শিশু কিশোরদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজন তাদের শরীর ও মনের পরিপূর্ণ বিকাশ সাধন। সেই বিকাশের লক্ষ্যে খেলাঘর সুদীর্ঘ অর্ধশত বছরের ও অধিক সময় ধরে বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে প্রতিনিয়ত শিশু অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।

২.
খেলাঘর আজ শুধু একটি সংগঠন নয়, সমৃদ্ধ এক ইতিহাসের নাম। আমরা গর্ব সহকারে বারংবার বলে থাকি, আমাদের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আর খেলাঘর দেশের শিশু ও কিশোরদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে কাজ করে যাচ্ছে। বিজ্ঞান মনষ্ক আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা খেলাঘরের অন্যতম কাজ। শিশু-কিশোরদের মানসিক বিকাশে যে সংগঠনটি একসময় অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেছিলো, সেই সংগঠনই খেলাঘর । বিগত ৬৭ বছরে খেলাঘর অনেক গুণী মানুষের জন্ম দিয়েছে। খেলাঘর মহান ’৫২-এর ভাষা আন্দোলনের ফসল। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে রয়েছে এ সংগঠনের বন্ধুদের ত্যাগ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে খেলাঘর আন্দোলনকে শাণিত করতে যে যার অবস্থান থেকে আরেকটু বেশি সক্রিয় হবো সেই প্রত্যাশা করতেই পারি।

৩.
পত্রিকার পাতাভিত্তিক সাহিত্যকর্ম দিয়ে শুরু হলেও ক্রমে তা সংগঠনে রূপ নেয়। গঠিত হতে থাকে শাখা সংগঠন। খেলাঘর কার্যক্রম শিশুকিশোর আন্দোলন হিসেবে ছড়িয়ে যায় সারা দেশে। তৎকালীন সংগঠকদের সচেতনতার মাত্রা বোঝা যায় মহান মুক্তিযুদ্ধে নিজস্ব ব্যানারে খেলাঘরের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে। স্বাধীন বাংলাদেশে এক পর্যায়ে খেলাঘরের শাখা সংগঠনের সংখ্যা দাঁড়ায় চারশ’টির অধিক। এই যে ব্যাপক বিস্তৃতি তা একদিনে হয় নি, হয় নি কোন এক জনের দ্বারাও। সারা দেশের প্রগতিশীল একঝাঁক উজ্জ্বল, উচ্ছ্বল দেশপ্রেমিক তরুণ কর্মীদলের একাগ্র নিষ্ঠা আর কর্মের ফসল আমাদের খেলাঘরের সেই সব উজ্জ্বল সোনালী দিনগুলো। আমরা তাদের প্রত্যেককে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করি।

৪.
সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও শিশু-কিশোরদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে ঐতিহ্যবাহী সংগঠন খেলাঘর আসর আসর বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে তরুণ প্রজন্মকে বই পড়াসহ নানান ধরনের সৃজনশীল কর্মকান্ড পরিচালনার মাধ্যমে সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে সদা তৎপর। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই শিশুকিশোরদের সঠিকভাবে গড়ে তোলার জন্য খেলাঘর কাজ করে আসছে। অসাম্প্রদায়িক, বিজ্ঞানমনস্ক ও মানবিকবোধসম্পন্ন মানুষ গড়ে তোলা সংগঠনটির মূল লক্ষ্য। খেলাঘর শিশুকিশোরদের সুস্থ দেহ ও মন গঠন, সাহিত্য, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির চর্চা এবং সৃজনশীল কাজের মধ্য দিয়ে প্রতিভার বিকাশ এবং বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি ও শিক্ষার প্রসারে আগ্রহী এবং প্রীতি, ঐক্য ও পারস্পরিক সহযোগিতা, মাতৃভূমি ও মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসার উপর গুরুত্বারোপ করে। এই সংগঠনটি পৃথিবীর সকল শান্তি, স্বাধীনতা ও মুক্তিকামী মানুষের সাথে একাত্মতার উপর ভিত্তি করে সকল কর্মকান্ড বিন্যস্ত করে। 

৫.
খেলাঘরের জন্ম ১৯৫২ সালের ২ মে। এই দিন দৈনিক সংবাদ-এর সাপ্তাহিক শিশু সাহিত্যপাতা খেলাঘর আত্মপ্রকাশ করে। আমরা জানি, প্রাথমিক পর্যায়ে সংবাদ ব্যাপক জনগোষ্ঠীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে নি সত্য, কিন্তু বাম রাজনীতির কর্মীরা সংবাদকে নিজেদের পত্রিকা হিসেবেই ভাবতেন। সংবাদ পত্রিকাটির অন্যতম আকর্ষণীয় পাতা ছিল ‘খেলাঘর’। এ পাতার প্রথম সম্পাদক ছিলেন কবি ও শিশু সাহিত্যিক হাবীবুর রহমান। খেলাঘরকে ঘিরে একদল তরুণ ও উদীয়মান লিখিয়ে ভিড় জমায়। কবি হাবিবুর রহমান ছিলেন খেলাঘরের ‘ভাইয়া’। দৈনিক সংবাদের বংশাল অফিসে খেলাঘর আসর গড়ে উঠে। একে কেন্দ্র করে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে শাখা খেলাঘর আসর গড়ে উঠতে থাকে। পুরনো ঢাকার জেলখানা রোডে দীন মোহাম্মদ নবীর নেতৃত্বে প্রথম শাখা আসর গঠিত হয় ‘আমাদের খেলাঘর’ নামে। ১৯৫৬ সালের ২২ জুলাই দৈনিক সংবাদের অফিসে এক নির্বাচনী সভায় কেন্দ্রীয় খেলাঘর পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠিত হয়। সাংবাদিক সৈয়দ নূরউদ্দিন ও তরুণ লেখক আল কামাল আব্দুল ওহাব নবগঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৭ সালে দ্বিতীয় কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হয়। ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর ছেলে মুহম্মদ সফিউল্লাহ সভাপতি ও আল কামাল আব্দুল ওহাব সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। 

৬.
১৯৫২-৬০ সময়কালে সাহিত্যচর্চা ছিল খেলাঘরের প্রধান কাজ। ১৯৬৪ সালে বজলুর রহমান খেলাঘরের ভাইয়ার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর খেলাঘর সমাজভিত্তিক শিশু সংগঠনের রূপ নেয়। বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং শোষণমুক্ত সমাজ এই সময়ে খেলাঘরের মৌলিক চেতনা হয়ে উঠে। ১৯৭১ সালে খেলাঘর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। মুক্ত স্বদেশে খেলাঘর শ্লোগান তৈরি করে ‘এসো গড়ি খেলাঘর, এসো গড়ি বাংলাদেশ’। এই সময়ে খেলাঘরের কান্ডারি ছিলেন সভাপতি বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দীন আহমদ। ১৯৭৩ সালে খেলাঘরের প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই জাতীয় সম্মেলনে খেলাঘর শিশু অধিকার ও বিজ্ঞান আন্দোলনের সূচনা। ১৯৭৯ সালের জাতীয় সম্মেলন পর সারাদেশে বিপুলসংখ্যক শাখা আসর গড়ে উঠতে থাকে। বিভিন্ন জেলায় জেলাকমিটি গঠিত হয়। এরপর ১৯৮২, ১৯৮৬ ও ১৯৯২ সালে খেলাঘরের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯২ সালের পর খেলাঘরের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ড. আলী আসগর ও আবদুল আজিজের নেতৃত্বে খেলাঘর বেশ গতিশীল হয়। ২০০২, ২০০৫ এবং ২০০৯ সালে খেলাঘরের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৯-এর সম্মেলনে সংগঠন, শিক্ষা, শিশুর আইনি অধিকার, শিশুর স্বাস্থ্য (শারীরিক ও মানসিক), বিজ্ঞান ও পরিবেশ, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ যুগ-পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। এই যুগ-পরিকল্পনার লক্ষ্য হচ্ছে বাঙালির জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের চেতনায় উজ্জীবিত এবং অসাম্প্রদায়িক, বিজ্ঞানমনস্ক ও মানবতাবোধসম্পন্ন প্রজন্ম গড়ে তোলা। 

৭.
সাহিত্যকর্ম দিয়ে কাজ শুরু হলেও খেলাঘরের কর্মকাণ্ড শুধু সাহিত্য রচনার মধ্যেই সীমিত থাকে নি। শুরুর দিকের সংগঠকরা ভেবেছিলেন, সচেতন সুনাগরিক গড়ে তোলার জন্য সাহিত্য সংস্কৃতির ভেতর দিয়ে শিশুকিশোরদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। খুবই ছোট আকারে কাজ শুরু হলেও উদ্যোক্তাদের অন্তর্দৃষ্টি ছিল গভীর আর দূরদৃষ্টি ছিল প্রখরতর। তারা দেখতে পেয়েছিলেন দেশের ভবিষ্যৎকে, স্থির করতে পেরেছিলেন উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নির্মাণের ভিত্তিভূমি তৈরির কৌশল। বেছে নিয়েছিলেন সর্বকালে সর্বদেশে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় বলে স্বীকৃত জনগোষ্ঠী শিশুকিশোরদের। যার ফলে স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা বলতে পেরেছিলাম “আজকের খেলাঘর, আগামীদিনের বাংলাদেশ”। বর্তমানে খেলাঘর সারা দেশে প্রায় ৬৫০টি শাখা আসর রয়েছে। জেলা কমিটিগুলি শাখা আসরের পরিচর্যা করে। একটি কেন্দ্রীয় কমিটি সংগঠনের মূল দায়িত্ব পালন করে। ২০০৯ সালের জাতীয় সম্মেলনে প্রফেসর মাহফুজা খানম চেয়ারপার্সন ও ডা. লেলিন চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক হিসেবে খেলাঘরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। 

৮.
খেলাঘর শিশুর বিকাশ, শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণসহ সাহিত্য, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও ক্রীড়ার ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন দেশের শিশু সংগঠনের সাথে খেলাঘর নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে। যারা এককালে খেলাঘর করতেন তাদেরই একটা বড় অংশ মেধা ও বুদ্ধিবৃত্তির জায়গায় অগ্রগণ্য মানুষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। খেলাঘর মূলত শিশুকিশোরদের জন্য হলেও সংগঠনের পরিচালনায় প্রয়োজন সৎ, নিষ্ঠাবান, দক্ষ, চরিত্রবান এবং সমাজ ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ একদল কর্মীবাহিনীর। যাদের কাছ থেকে সংগঠনের শিশুকিশোর ভাইবোনেরা উপর্যুক্ত গুণাবলী হাতেকলমে শিখবে। সংগঠকরা যদি দক্ষ ও প্রশিক্ষিত না হয়, তবে কোন সংগঠন উন্নতি লাভ করতে পারে না। উপর্যুক্ত গুণাবলীসম্পন্ন কর্মীদলের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর থেকে শুরু করে একেবারে শাখা আসর পর্যন্ত অর্থাৎ সংগঠনের সর্বস্তরে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, আজকের খেলাঘর অনেক ত্যাগী কর্মী ও সংগঠকের মেধা আর শ্রমের ফসল। একে বাঁচিয়ে রাখা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ উভয় প্রজন্মের জন্যই প্রয়োজন। খেলাঘর আন্দোলন দীর্ঘজীবী হোক।

৯.
গুণিজনেরা অভিযোগের সুরে বলে থাকেন, আগে পাড়া-মহল্লায় সকাল-বিকেল হারমোনিয়ামের বাজনা শুনতে পেতাম। সংস্কৃতিচর্চা করত শিশু-কিশোরেরা। কিন্তু আজ টেলিভিশনে সিরিয়ালের কারণে তা আর পাওয়া যায় না। বাবা-মায়েরাও সন্তানদের পর্যন্ত সময় দেন না। এই নিস্ফলা সময়ে খেলাঘর আরো বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালনে এগিয়ে এলে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চাই কেবল বাড়বে না, স্বদেশপ্রেমী সুনাগরিকের সৃষ্টিতেও জোরালো অবদান রাখবে বলে আশাবাদি। এক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও সরকারের সংশ্লিষ্টজনদের ইতিবাচক সক্রিয় সদিচ্ছা যেমন প্রয়োজন তেমনি আমাদের পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বও আরো জোরদার করা দরকার। পরীক্ষার ফলাফল কেন্দ্রিক জীবনমুখী এককেন্দ্রিক ভাবনার প্রবল চেতনার জলে প্লাবনভূমিতে ‘মানুষ’ হওয়ার শিশুদের স্বাভাবিক পরিবেশ দারুণভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। যেমন প্রশ্নবিদ্ধ পরিবারের, সমাজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকাও । এই দুর্যোগকালে আমাদের সুস্থচিন্তা চর্চায়, মানবিক সমাজ গড়তে খেলাঘরের মতোন সংগঠনগুলোর ভূমিকাকে কোনভাবেই অবহেলা করা সঠিক বিবেচনার কাজ হবে না।

১০.
সুন্দর সমাজ গড়ার ঐতিহ্যবাহী সংগঠন খেলাঘর-এর নিরন্তর সাফল্য যেমন কামনা করি তেমনি সর্বস্তরের মানুষের শুভবোধের জাগরণে এ জাতীয় শিশু সংগঠনগুলো আরো সজীবতা পাবে, সেই প্রত্যাশাও করি প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠা দিবসে।

(তথ্যসূত্র : বাংলাপিডিয়া, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, ইন্টারনেট)
আরো পড়ুন -->>

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

3 মন্তব্যসমূহ

  1. রহমত আলী২/৫/২৩, ১:৫১ PM

    খেলাঘর একটি অসামান্য সংগঠন৷ আমার জীবনে এর ভূমিকা অনেক৷ ছোটবেলায় আমিও খেলাঘর করতাম৷ জয় হোক খেলাঘরের

    উত্তরমুছুন
  2. আবদুল্লাহ বিন মুস্তাফা২/৫/২৩, ৯:০৬ PM

    খেলাঘর বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। তরুণ তরুণীদেরকে মানবিক, দেশপ্রেমিক, আধুনিক চেতনার মানুষ হিসেবে গড়িয়ে তুলতে এই সংগঠনের ভূমিকা অপরিসীম। এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কথা ভুলেই গেছিলাম। মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ। খেলাঘরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সফল হোক, সফল হোক।

    উত্তরমুছুন
  3. মনোয়ার হোসেন২/৫/২৩, ৯:১৬ PM

    আজকে খেলাঘরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী?? হায় হায় মনে ছিল না। আ! কতই না মজার সে দিনগুলো ছিল। আজ কামলা জীবনে যে সংগঠনের কাছ থেকে জীবনকে চিনলাম, তাকে মনে রাখতে পারি নি। খেলাঘরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অভিনন্দন জানাই।

    উত্তরমুছুন

অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্যের দায় মন্তব্যকারীর, সম্পাদকের নয়।