ফেরদৌস হৃদয়ের কবিতা ‘সিঙারা’

এখন,একটা অতিকায় কালোজিরার ভেতর মুহূর্তের ট্রেনগুলো ১-১ কোরে সংখ্যাতীত-আমাকে নিয়ে পালিয়ে যেতেছে ঘুম ও জাগরণের সমান্তরাল == রেললাইন ধরে আর গতির ঝাপটায় অনবরত কাঁপছে নীল আলোর তন্তুগুলো ভয়ে।কিন্তু আমি মোটেই আতঙ্কিত নই আমার এই একমুখি→ ঝটিকা-ভ্রমণ বিষয়ে,বরং আশাবাদী,কারণ প্রতিমুহূর্তেই আমি পেয়ে যেতেছি একজন কোরে নতুন সঙ্গী।

★★
এখন,ছাদটাকে মনে হতেছে সম—তল মাঠ,আমি আমার অতীতের অ্যালবাম মেলে দেই মাঠে আর চুম্বক অংশকিছু বাছাই করে তুলে নেই আর খেলি—অতীত,আমি আর ঘোড়দৌড়রত ফ্যা*ন। আমি [ছাদটার] আয়তক্ষেত্রিক আকারকে অস্বীকার করি আর ততটাই হয়ে যেতেছি একরত্তি 0০•· যতটা না হলে ছাদটার বিস্তার অসীম হয়ে যায় আমার কাছে এবং খেলতে থাকি জমানো মূহুর্তগুলোকে বেহিসেবী খরচা করে করে আর একটা হা-করা দেয়ালঘড়িতে প্রতিবাদহীন ঢুকে পড়ছি খরচের সমানুপাতে কারণ আমি জানি চক্রা*কারে পৌঁছে যেতেছি সময়ের নিউক্লিয়াসে > •

★★★
এখন,বিছানায় পায়চারী করতেছে চাদরের অগণিত ঢেউ~~যেন আপাদমস্তকে ভেসে উঠছে মর্মর-পাথুরে দ্বী0প আর পরিধি কেঁটেকুটে কাঠামো হাইজ্যাক কোরে নিয়ে যেতেছে অন্ধকার,নিরুপায় তাই হন্তদন্ত পা-পা অস্তিত্বের ঘুলঘুলি গলে গথিক ধাঁধায়—অন্তত একটা পুরনো ছায়ার নাগাল পেয়ে যাই যদি।
আরো পড়ুন -->>

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ