কী যে করি- অসহ্য; কোথা থেকে আসছে সময়ের করাতের এমন ঘর্ঘর? ঘনঘন, আজকাল জানলার সামনে এসে যাই,বিশেষত- রাতে, হচ্ছে যেটা প্রায়শই, জ্যোৎস্নার-শাদা ফুটো কোরে বেরিয়ে আসছে মাহেনজোদারোর ধারালো কোলাহল-
হাতের তালুতে গাল রেখে স্থির, অনেকটা ভ্যান গগের ড.গ্যাশের ভঙ্গিমায় বসে থাকি নিরুপায়,শুনি- শান্ত রাতের দ্রাবকে এ দ্রব-কোলাহল মিশে গিয়ে তুলছে জলের শব্দময় বুদ্বুদ।
যেন হঠাৎ, জানলার ধারে উড়ে এসে এ্যাক জাদুর রুমাল- চকিতে বিম্বিত করে দিয়ে গ্যালো সিন্ধুর সুদীর্ঘ উজ্জ্বল পাড়! এবং পাথরে পাথরে- অজ্ঞাত অক্ষরের সমাগম- বিশুষ্ক চরাচরে স্বেচ্ছাচারী। আর অক্ষরের খোপে খোপে সুগন্ধি ডানা ঝাপটায় থেকে থেকে দূর্বোধ্য ভাবনার পাখি। এরা সুধোয়, এদের নরম ও নিটোল গলায়: কেবলই পাঁচ হাজার বছর- ওরে ছোকরা,এ আর এমন কী? ভেবে দ্যাখ্, এর চেয়ে কতকাল আরও বেশি!
কবিতার জটিল ইঙ্গিত নিয়ে বুকে তোর সুপ্রাচীন পৃথিবী নির্জন হেঁটে যায়-
আরো পড়ুন -->>
0 মন্তব্যসমূহ
অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্যের দায় মন্তব্যকারীর, সম্পাদকের নয়।