মূলত লকডাউনে গড়ে ওঠা,আস্তে আস্তে গভীর হাওয়া প্রেমগুলো ভাঙতে শুরু করেছে।চারিদিকে বিচ্ছেদের হাহাকার। স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছে সবাই, ভাঁটা পরতে শুরু করছে প্রেমের সম্পর্ক গুলো।
কেউ কেউ হেসে উড়িয়ে দিয়ে ফিরছে স্বাভাবিক গতিতে আবার কারো কারো দম আটকে যায় কথা বন্ধ হলে।অস্বাভাবিক আচারণ,মাথা ভিতরে পোকার মত কিছু একটা নাড়াচাড়া করে,নির্ঘুম রাত কাটে,গলা দিয়ে কিছু নামে না,বুকে অসহ্য যন্ত্রণা হয়।ঝরঝর করে চোখের পানি পারে,চারিদিকে শূন্যতা,ফোলা চোখ আড়াল করে রাখে,কখনো কখনো মন চায় ডুকরে কেঁদে উঠি,ঝিমে ধরে,অসহায় লাগে।মনে হয়,আমি ভালোবাসতে ব্যর্থ।ধরে রাখতে পারিনি তাকে।নিজেকে অপরাধী মনে হয়।পরিস্থিতির কাছে আমার ছোট ভুলটাই পাহাড়,তার এড়িয়ে যাওয়ার প্রথম সুত্রপাত মনেই আসে না।
কিন্তু যার জন্য এতকিছু সে দিব্যি আছে।কাঁধে ব্যাগ চাপিয়ে ছুটে চলছে ক্লাসের দিকে।বন্ধুদের সাথে ঠিকই মেতে আছে।সন্ধ্যায় আড্ডার আসর জমিয়ে দিচ্ছে। যেন কিছুই হয়নি।টিভির ভলিউম বাড়িয়ে দিয়ে গান শুনছে,হয়ত ক্লান্ত রাতে একটু মনে পরলেও পরতে পারে।খারাপ লাগে না কিংবা মনেই হয় না একটা ফোন দেই,একটু খবর নেই।বরং হাসিই পায়,ছেলেটা/মেয়েটা কে কেমন বোকা বানালাম।তারপর পাশ ফিরিয়ে ঘুমিয়ে পরে।
কিন্তু অপর পাশের মানুষটার রাত কীভাবে যায়?কান্নার শব্দ কি পাশের ঘর পর্যন্ত পৌঁছায়?তারপর মা-বোন ছুটে আসে,বুকে আগলে নেয়?জানতে চায় "কি হয়েছে",সে কি তখন বলতে পারে, নাকি বলে দুঃস্বপ্ন? স্মৃতি কি মুছতে পারে?রাত জেগে ফোনে কথা বলা,লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা করা কিংবা মনে পড়ে না,মানুষটার দেওয়া প্রতিশ্রুতি গুলোর কথা?এমনি করে রাত যায় দিন-আসে। তারপর সপ্তাহ এরপর মাস।আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয় জীবন। সুযোগ পায় আরো একবার বেঁচে থাকার।সেই জীবন হয় সুন্দর।
"যখন আমাদের জীবন থেকে খুব কাছের কেউ চলে যায়,আমরা ভাবী পৃথিবীর সমস্ত রঙ বুঝি কালো ছাই হয়ে গেল।আমরা নিস্তেজ হয়ে যাই।কিন্তু না,কখনো কখনো সেই কালো ছাই থেকেও সবুজ পাতা উঁকি দিয়ে জীবন আমাদের আরো একবার সুযোগ দেয়।
সেই সুযোগ জীবনকে করে তোলে বর্ণিল,হাস্যজ্জল,প্রাণবন্ত,প্রফুল্ল।"
শিক্ষার্থী,সম্মান ২য় বর্ষ(বাংলা বিভাগ)
কুড়িগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ।
আরো পড়ুন -->>
0 মন্তব্যসমূহ
অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্যের দায় মন্তব্যকারীর, সম্পাদকের নয়।