অক্সফোর্ডের ন্যাশনাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের এক আশ্চর্য কীর্তিঃ ভালুকের গায়ে লেখা ‘টাচ্ করুন’

লিখেছেনঃ ইমরান কায়েস


একটা সত্য ভাল্লুক!
স্টাফ করে রাখা।
শরীরের এই ফার, স্কিন সবই আসল!

অক্সফোর্ডের ন্যাশনাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে ঢুকতেই,  দুপাশে  দুটো ভাল্লুক দাঁড়িয়ে থাকতে  দেখে, রীতিমতো চমকে উঠতে হয়!  

একটা কালো, একটা বাদামী!

দেখলে মনে হয়, ব্যচারারা এই কিছুক্ষণ আগেও  হাটাহাটির মধ্যে ছিলো, হুট করে সময়টা ফ্রিজ হয়ে গেছে।

এত জীবন্ত!  

এদের নীচেই খুব চমৎকার করে এদের জীবন ইতিহাস, অভ্যাস  লিখে রাখা, সাথে লেখা,
প্লিজ টাচ!

দয়া করে স্পর্শ করুন!

একটা জীবনকে আরেকটা জীবনের কাছে স্পর্শ করবার আহবান!
স্পর্শে কানেক্টেড হবার আহবান।
দরদ ছড়াবার আহবান!

প্রাণ তো একটা বিষ্ময়!
এ এক অদ্ভুত ব্যখ্যাতিত জীবন্ত ঘটনা!

এই বিষ্ময়কর নীল গ্রহে, লক্ষ লক্ষ এই যে প্রাণের মেলা,
এ ক্ষুদ্র পতঙ্গ,  শ্যাওলা, সবুজ, সঙ্গীকে খুজে বেড়ানো বিষ্মিত  তক্ষক!

আকাশ ভেঙে নেমা আসা জল গড়ানো গায়ে,
কি প্রবল আকুতিতে ডেকে বেড়ায় সোনা রঙ ব্যাং!

কি মায়া সন্ধ্যা নামে মানুষের ঘরে!
ঘরে ফিরে আসে রঙিন প্রজাপতি
একটা নীল সাপ!

জ্বোনাকির আলো, ভালোবাসা হয়ে ঘুরে বেড়ায় বেতফলের বনে!

এ বিষ্ময়,
এ মহাযজ্ঞের কারনটা কি?
কেন এই আয়োজন!

সকল প্রাণ মিলে এই যে গোলক ধাধা!  
জন্ম মৃত্যুর এই  যে খেলা! এই অজস্র শ্বাস, হৃদপিন্ডের ধুকপুক, এই ঘন জীবন! এ মহা আয়োজন!  
কেন?

কে জানে!  

তবে সমস্ত প্রাণের এই বসতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্লু বা আঠাটা হচ্ছে ভালোবাসা। দরদ।

যে কাজ,  যে আচরণ, এক প্রাণ থেকে আরেক প্রাণের দূরত্ব বাড়ায়, তা ই ক্ষতিকর, তাই ভয়ংকর!

মানু্ষ  লাভ লোভ, প্রতিযোগিতা, বাজার আর সুপারফিশিয়াল ঋণাত্মক চাহিদার একটা স্যাটানিক জগত তৈরি করেছে।

সে জগতে সত্য সরল গভীর ভালোবাসার স্থান নেই।
কোথাও নেই  আর, এমনি এমনি দরদের স্পর্শ!  
জড়ায়া ধরা।

প্রাণ পুড়ে যাওয়া ভালোবাসা!

আরো পড়ুন -->>

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ