চিত্রায়ণ
অভাবি আমি স্নিগ্ধ পবনের,
এলো চুল তোমার হয়েছে তার ব্যারিকেড!
মুচোন কর হে মহীয়সী অভাব মোর,
খুলে দাও ব্যারিকেড।
শুভ্রদন্তের হাসিতে তোমার কপোল জুড়ে টোল,
স্কন্দের অংশ জুড়ে বেণির বুনন!
সেই বেণিও করেছে মোরে অভাবি,
মুচোন কর হে মহীয়সী অভাব মোরে।
ভালে মোর লিখে দাও তোমার কৃষ্ণবর্ণ বদন,
দলিল কর মোর নামে তোমার ওষ্ঠযূগল!
মুচোন কর হে মহীয়সী অভাব মোর,
থলে ভরে দাও তোমার স্নিগ্ধতার সিক্ত চুল!
যে পবনের অভাবি আমি দেউলিয়া!
তুমি তার বাঁধা, বাঁধা তোমার তন্বী গড়ন দেহে,
কপোলের টোল।
আমি ঋণ চাই তোমার বেঁকে যাওয়া ঠোঁটের হাসি;
বেখেয়ালি ইচ্ছার অভাব মোর,
অভিমান তোমার হয়েছে ব্যারিকেড!
মুচোন কর অভাব মোর হে মহীয়সী,
খুলে দাও ব্যারিকেড!
তুমি তো মহীয়সী ভারেভবানি!
কৃষ্ণতার রূপ, কঙ্কন জুড়ার মতো উজ্জ্বল তুমি!
কচিপাতার মতো সজীব, ভ্রুযূগল যেন যোদ্ধার ধনুক!
নাক যে তার তীর-ঠোঁট যেন তোমার গোলাপ পাপড়ি।
পা যেন তোমার যোদ্ধার তরবারি!
আলোর প্রতিকৃতি
দেখেছি তারে শত আলোক বর্ষদূরে!
কখনো ছায়াপথ, কখনো উল্কা, কখনো ধূমকেতুর মাঝে তার একক কর্তৃত্ব; পৃথিবীর সব বৃক্ষের অন্নদাতা সে।
দীপ্ত মেজাজে পৃথিবীর প্রহরী হয়ে!
যাকে উপমিত কিছু কল্পিত রমণীর মুখ,
সেই ধূসর রমণী শশী তার আলোর কৃপায় উজ্জ্বল!
তার একটু অভিমানে পৃথিবী হতে পারে বরফ খণ্ড!
মেজাজী হলে ভূমি হবে চৌচির।
সকল সজীব শস্য ক্ষেত পুরে হবে মরুভূমি!
তার থেকে শুরু তাপের পূজা,
সৃষ্টি করেছে অগ্নি পূজক কনফুসিয়াস!
তার পায়ে ভিক্ষা মাঙে ইতালির ভিসুভিয়াস।
সে'ত এক জ্বলন্ত অগ্নি পিণ্ড; বিধাতার উনুন!
আকাশচুম্বী অট্টালিকায় থাকা কিছু জীবের জন্য অভিশাপ সে; ছেড়া কাঁথায় তীব্র শীতে ভাইব্রেশন
দেহের জন্য সে এক চরম আশীর্বাদ।
আগুনের ওহমের প্রাচীর ভেঙ্গে প্রভাতে আগমণ!
ঈশ্বরের উপহার সে; তারে বলি পৃথিবীর সে এক জ্বলন্ত ভিসুভিয়াস! আলোর প্রতিকৃতি।
0 মন্তব্যসমূহ
অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্যের দায় মন্তব্যকারীর, সম্পাদকের নয়।