শ্রমনিষ্ঠ মেহনতি
কৃষকদের ব্যাপ্ত অভাবের গভীর বিষন্নতা
সবুজ,সোনাভরা ধানের ক্ষেত এনে দেয় আশার উষ্ণতা
রক্ত ঘামে রৌদ্র পুড়ে, ঝড় বৃষ্টিতে ভিজে শক্তহাতে লাঙ্গল ধরে
যুগের পর যুগ তারা দিয়ে আসছে আমাদের গোলা ভরে
পরনে ছেরা কাপড়,থাকে ভাঙ্গা ছনের ঘরে , বৃষ্টিতে পানি যেথায় পরে
এম্নিকরেই সংগ্রামের মধ্যে তারা জীবনযাপন করে।
রোগাক্লিষ্ট,ধার দেনা অভাব অনটন ঋণ ভরে জর্জরিত
আধিপত্যিকরা তাদের উপর অন্যায় করে আসছে,করে নৈতিকতা বিবর্জিত।
সবকিছুকে একপেশে রেখে তারা জীবনযুদ্ধে লড়াই করছে অবিরত।
সম্বল শুধু হালের গরু আর পুরাতন ভোঁতা যন্ত্র
পাতি
এই তাদের পেশা,যা নিয়ে কাটে সকাল,সন্ধ্যে রাতি
নেই ঘুম,নেই বিশ্রাম, সর্বদাই অন্তহীন কর্মব্যস্ততা
সারাবেলা গাধার মতো খেটেও নিত্যসঙ্গী ওদের চির দারিদ্র্যতা।
কৃষকের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে এখনো
অবহেলা আর উদাসীনতা
সারাবছর নানান শস্য ফসল ফলিয়েও
বিরাট সমস্যা ওদের পুষ্টিহীনতা।
যাদের ঘর্মজলে জোটে বিশ্ববাসীর মুখের আহার।
সকলের খাদ্য চাহিদা মিটিয়েও নিজেরাই অপুষ্টির শিকার!
এমনিভাবে শতাব্দীর পর শতাব্দী তাদের উপর
চলে নির্বিচার , অপব্যবহার আর অত্যাচার
মনুষ্যত্ব জাগ্রত হোক, শেষ হোক সেই লাঞ্ছনার।
দিকেদিকে শুরু হোক কৃষি জাগরণের জোয়ার
এদের শোষণ করেই বিত্তবানদের অবস্থান উঁচু স্তরে
এদিকে কৃষকদের সামাজিক মর্যাদা সবার নিম্নস্তরে।
যাদের মাঝে লুকিয়ে আছে আমাদের সমৃদ্ধি আর প্রাচুর্য
দিনের পর দিন তাদের ঠকিয়েই আমরা গড়ি প্রভূত ঐশ্বর্য্য।
আরো পড়ুন -->>
3 মন্তব্যসমূহ
হায়রে কবিতা! মূর্খ সম্পাদক
উত্তরমুছুনএইগুলান কবিতা? মিয়াভাই আগে কবিতা পড়েন বড় বড় কবিদের পড়েন বোজেন তারপর আইসেন লেখপার৷ কবিতামারানি
আগে পড়ুন,বুঝুন
মুছুনতার পর মন্তব্য করুন।
আমি বুঝেই কমেন্ট করেছি৷ তোমার মতো অশিক্ষিত মুর্খ কুপমন্ডুক কোনদিন বুঝবে না৷
মুছুনএটা যদি কবিতা কই
তোর নানীর পুটকী সই
অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্যের দায় মন্তব্যকারীর, সম্পাদকের নয়।