(১)
এই বরষায় / সাম্য রাইয়ান
থাকো, যেভাবে আছো বসে সেভাবেই
উঠতে হবেনা বৃষ্টি দেখতে, ভিজবেই?
ভেজার প্রয়োজন নাই, কতোটা ভিজবে জলে
স্বগৃহেরই আয়োজন — যেন পাহাড়ের সানুতলে।
ঝড়ের বাহনে পরিকীর্ণ হয়ে রূঢ় বরষায়
জলেরা কার ঘরে ঢুকে যায়!
ফ্যাকাশে দৃষ্টি বেয়ে উঠে যায় মেঘের কোলাহলে
নির্জলা প্রবেশপথ ধ’রে সহজভেদ ক’রে ফেলে ।
তারপর শাদামেঘজুড়ে শালবনের ছবি
প্রসবের ঘ্রাণ চার্দিকে ছড়িয়ে ঘুমোলো পৃথিবী।
(২)
বৃষ্টি / হোসাইন মাইকেল
বর্ষা এলো, উঠোনভরা জল। আমার চোখে বৃষ্টি টলমল।বৃষ্টিকে তো তোমার নামে ডাকি। বৃষ্টি আমি ইস্টিশনে রাখি। ইস্টিশনে শান্ত শীতল ব্যথা। ব্যথার পাশে কথা আছে খুব। কথাগুলো ভীষণ ভীষণ কথা। ভীষণ কথায় আমার ইস্টিশন— তোমার নামের ভেতর ডুকরে কাঁদা মন। মনে আমি নৌকো ভাসাই কাগজ কাগজ খেলায়। বৃষ্টি, দ্যাখো হাতের লেখায় বৃষ্টি বয়ে যায়...
[কুড়িগ্রামে জন্ম নেয়া সমকালীন কবিদের বৃষ্টির পদাবলী নিয়ে এ আয়োজন৷ নিয়মিত প্রকাশিত হবে৷ আপনি যদি কুড়িগ্রাম জেলায় জন্ম নেয়া কবি হয়ে থাকেন আর যদি থাকে আপনার বৃষ্টির কবিতা, তাহলে আমাদের পাঠিয়ে দিন৷ anushilanmag@gmail.com]
0 মন্তব্যসমূহ
অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্যের দায় মন্তব্যকারীর, সম্পাদকের নয়।